হাদ্দাসানা প্রকাশিত সিজন ১ এর ৪ টি গ্রন্থ একসাথে
Original price was: 1,200.00৳ .720.00৳ Current price is: 720.00৳ .
হাদ্দাসানা প্রকাশিত ৪ টি বই সমুহঃ
- হাদীসে কুদসী
- প্রশ্নোত্তরে মিশকাতুল মাসাবীহ
- ইলমে হাদীসের বাতিঘর
- হাদীস পরিচিতি, সংরক্ষণ ও সংকলন
Description
“হাদীসে কুদসী” গ্রন্থ পরিচিতি
‘কুদস’ শব্দের অর্থ হচ্ছে – পবিত্র, দোষ-ক্রটি থেকে মুক্ত। এটি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার ‘আসমাউল হুসনা’ বা গুনবাচক নামসমূহের একটি।
যে সকল হাদীসের মূল কথা সরাসরি আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে এসেছে, কিন্তু হাদীসের ভাষা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিজের; এ ধরণের হাদীসগুলোকে ‘হাদীসে কুদসী’ বলা হয়।
অর্থাৎ- ‘হাদীসে কুদসী’ হচ্ছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার এমন কিছু কথা; যেগুলো তিনি পবিত্র কুরআনের আয়াত হিসেবে নাযিল করেন নি। বরং, তিনি সেগুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নের মাধ্যমে অথবা তাঁর অন্তরে ‘ইলহাম’ করার মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন।
অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম সেই কথাগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর নিজ ভাষায় উম্মতের নিকট ব্যক্ত করেছেন। এবং বর্ণনার সময় তিনি ‘আল্লাহ বলেছেন, আল্লাহ বলেন বা আল্লাহ বলবেন’… এ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করেছেন।
এ ধরণের হাদীসের বক্তব্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে হওয়ার কারণে তাঁর গুনবাচক নাম ‘আল-কুদস’-এর দিকে সম্পর্কিত করে এগুলোকে ‘হাদীসে কুদসী’ বলা হয়। কখনো কখনো এগুলোকে ‘হাদীসে ইলাহী’ বা ‘হাদীসে রাব্বানী’ নামেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। (উলুমুল হাদীস ওয়া নুসুসুন মিনাল আছারঃ ১৩৭)
বিশুদ্ধতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ মোট ১৭০ টি হাদীস অত্র সংকলনে সন্নিবেশ করা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্!
“প্রশ্নোত্তরে মিশকাতুল মাসাবীহ” গ্রন্থ পরিচিতি
মিশকাতুল মাসাবীহ হাদীস শাস্ত্রের সুপরিচিত ও উল্লেখযোগ্য একটি গ্রন্থ।
মিশকাতুল মাসাবীহ মূলত মিশকাত ও মাসাবীহ দুটি গ্রন্থের সমন্বিতরূপ। মিশকাত শব্দের অর্থ চেরাগদান। আর মাসাবীহ শব্দের অর্থ বাতিসমূহ। অতএব মিশকাতুল মাসাবীহ এর অর্থ হচ্ছে, বাতিসমূহের চেরাগদান। এটি মূলত ইমাম আবু মুহাম্মাদ আল-হুসাইন ইবনে মাসঊদ আল বাগাভী রহঃ (মৃত্যু ৫১৫ হিঃ) লিখিত “মাসাবীহুস সুন্নাহ” গ্রন্থের পরিশোধিত ও সংযোজিত সংকলন। যা ইমাম শায়খ ওয়ালী উদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল-খাতীব আত-তিবরিজী রহঃ (মৃত্যু ৭৪১ হি.) রচনা করেন।
ইমাম বাগাভী (রহঃ) তাঁর রচিত কিতাবটি প্রসিদ্ধ হাদীস সংকলন যথা সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, সুনানু আবি দাঊদ, জামে’ তিরমিযি ইত্যাদি গ্রন্থ থেকে সংকলন করেন। তিনি এই সংকলনের ক্ষেত্রে হাদীসের যথাযথ গ্রন্থসূত্র উল্লেখ করেন নি। পক্ষান্তরে শায়খ খাতীব তিবরিজী (রহঃ) প্রত্যেক হাদীসের বর্ণনাকারী ও হাদিসটি কোন কিতাবে উল্লেখিত হয়েছে সে কিতাবের নামও উল্লেখ করেন।
তিনি মিশকাতকে ফিকহের ধারাবাহিক নিয়ম অনুযায়ী সাজিয়েছেন এবং প্রতিটি অধ্যায়কে তিনটি করে অনুচ্ছেদে ভাগ করেছেন। যার মধ্যে প্রথম পরিচ্ছেদে সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের হাদীস, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে সুনানে আরবা’আর হাদীস এবং তৃতীয় পরিচ্ছেদে অন্যান্য গ্রন্থের হাদীস এনেছেন।
মিশাকাতুল মাসাবীহ গ্রন্থে সর্বমোট হাদীস রয়েছে ৫৯৪৫ টি। তন্মধ্যে কিতাবুল মাসাবীহ গ্রন্থ হতে ৪৪৩৪ টি এবং মিশকাত হতে ১৫১১ টি হাদীস সংকলন করা হয়েছে। এই গ্রন্থের উপর লিখিত প্রায় ২৫ টি ব্যাখ্যাগ্রন্থের মধ্যে আল্লামা মোল্লা আলী কারী (রহঃ) রচিত মিরকাতুল মাফাতীহ, আল্লামা ইদ্রিস কান্দলভী (রহঃ) রচিত আত-তা’লীকুস সাবীহ এবং বাংলাদেশের আল্লামা মুহাম্মাদ আবুল হাসান বাবুনগরী (রহঃ) রচিত তানজীমুল আশতাত অন্যতম।
প্রশ্নোত্তরে মিশকাতুল মাসাবীহ গ্রন্থে মিশকাতের প্রথম ৬ টি অধ্যায়ে উল্লেখিত হাদীসের তথ্যভাণ্ডার প্রশ্নোত্তর আকারে সাজানো হয়েছে। ইলমে হাদীস বিষয়ক দেশের প্রথম ইসলামিক মেগা রিয়ালিটি শো ‘হাদ্দাসানা’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সিলেবাস হিসেবে প্রণীত হয়েছে বইটি। বর্ধিত পরবর্তী সংস্করণে হাদীসের মূল আরবী ইবারতসহ অনুবাদ উল্লেখপূর্বক প্রশ্নোত্তর আকারে পরিবেশিত হবে, ইনশাআল্লাহ!
আগামী পাঁচ বছরে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় মিশকাতুল মাসাবীহ কিতাবটি ধারাবাহিকভাবে পরিসমাপ্ত হবে বলে ‘ওয়াবিহি কালা হাদ্দাসানা’ প্রকাশন কতৃপক্ষ আশাবাদী।
“ইলমে হাদীসের বাতিঘর” গ্রন্থ পরিচিতি
ইসলামী শরী‘আতের মূল উৎস হচ্ছে দু’টি। আল্লাহ তাআলার কিতাব আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ। উভয়টিই ওহীর অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ উভয়টির হিফাযতের দায়িত্বও গ্রহণ করেছেন। সুন্নাহ’র গুরুত্ব-মহত্ত্ব, মর্যাদা, তাৎপর্য, ও আবশ্যকতা অপরিসীম। সুন্নাহকে বাদ দিয়ে শরী‘আতের পূর্ণতা কল্পনা করা যায় না। সুন্নাহর ওপর নির্ভর করা ব্যতিত কুরআন কারীমের ওপর আমল করাও সম্ভব নয়।
মহান আল্লাহ বলেছেন,
“এবং তিনি কোনো মনগড়া কথা বলেন না। তিনি যা বলেন, তা ওহী; যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।” (সূরা নাজমঃ ৩-৪)
“রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তোমরা তা গ্রহণ করো এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাকো।” (সূরা হাশরঃ ৭)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
“আমি তোমাদের মাঝে এমন দুটি জিনিস রেখে গেলাম, যেগুলো আঁকড়ে ধরে থাকলে তোমরা পরে আর কখনো পথভ্রষ্ট হবে না- আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নাহ।” (সহীহুল জামে’ লিল-আলবানীঃ ২৯৩৭)
ইসলামী জীবনব্যবস্থায় হাদীসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এই হাদীসই হলো আল কুরআনের বাস্তব রূপ এবং বিস্তারিত ব্যাখ্যা। এটি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবন দর্পন এবং শরী‘আতের দ্বিতীয় মূল ভিত্তি। হাদীস ব্যতীত কুরআন বোঝা এবং বাস্তবায়ন করা অসম্ভব। কেউ এর বিপরীত দাবি করে থাকলে সে হয় মিথ্যাবাদী, নয় উন্মাদ-নির্বোধ। কুরআনে আল্লাহ বান্দাহদের জন্য এমন অনেক বিধান নির্দেশ করেছেন, যেগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করার দায়িত্ব তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উপর ন্যস্ত রেখেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর বক্তব্য ও কর্ম-পদ্ধতির মাধ্যমে সেগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন, যা হাদীসসমূহে সংরক্ষিত আছে। ঠিক এ কারণেই, রাসূল (সাঃ) এর যামানা থেকে অদ্যবধি সর্বযুগে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে উম্মতের উলামাগণ কুরআন চর্চার সমান গুরুত্ব দিয়েই হাদীস চর্চা করেছেন। এর সংকলন, সংরক্ষণ ও প্রসারে বিরামহীনভাবে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছেন। হাদীস অস্বীকারকারী প্রবৃত্তিপূজারীদের বিরুদ্ধে সুদৃঢ় অবস্থান নিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র উম্মোচন করেছেন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবেই মুসলিমরা পেয়েছে সহীহ বুখারী, মুসলিম, মুয়াত্তা মালেক, সুনান আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ ইত্যাদির মতো বিশ্ববিখ্যাত, সর্বজনসমাদৃত হাদীসের সংকলনসমূহ। আল্লাহ তাঁদেরকে এবং তাঁদের মেহনতকে কবুল করুন।
‘আসমাউর রিজাল’ তথা রিজাল শাস্ত্র ইলমুল হাদীসের খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি দিক। বিভিন্ন স্তরের হাদীস বর্ণনাকারীদের পরিচয়, জন্ম মৃত্যু, শিক্ষক ও ছাত্রদের বিবরণ, জ্ঞানার্জনের জন্য ব্যাপক ভ্রমণ এবং নির্ভরযোগ্য (সিকাহ) বা অনির্ভরযোগ্য হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়াটা প্রতিটি বর্ণিত হাদীসের শুদ্ধতার জন্য জরুরী বিষয়। জ্ঞানের এই শাখার ব্যাপকতা যেমন বেশী, তেমনি এর উপকারিতা ও প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এর মাধ্যমে রাসূলের (সাঃ) হাদীসকে সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হয়েছে। রিজাল শাস্ত্রের বদৌলতে বিভিন্ন প্রজন্মের প্রায় পাঁচ লক্ষ রাবীর জীবন ইতিহাসে সংরক্ষিত রয়েছে। জ্ঞানের কোনো একটি শাস্ত্রকে সংরক্ষণের জন্য মুসলিম জাতির নেয়া এই পদক্ষেপের নজির পৃথিবীর অন্য আর কোনো জাতির মধ্যে পাওয়া অসম্ভব।
অত্র সংকলনটি ইলমুল হাদীস ও আসমাউর রিজালের খেদমতে আমাদের একটি ছোট্ট পদক্ষেপ। এ গ্রন্থে হাদীসের প্রথম পর্যায়ের বর্ণনাকারী তথা রাসূলের (সাঃ) সাহাবাদের জীবনী সংক্ষিপ্তভাবে আলোচিত হয়েছে। বস্তুত, সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন অহীর প্রথম শ্রোতা, প্রথম হাফেয, প্রথম লেখক এবং প্রথম সংরক্ষক। তারা ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনের প্রতিটি কথা ও কাজের পূর্ণ বাস্তবায়নকারী, আনুগত্যশীল এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য জীবন উৎসর্গকারী ব্যক্তিত্ব। আল্লাহর কুরআনকে তাঁরা যেরূপ গুরুত্বের সাথে প্রতিযোগিতামূলকভাবে মুখস্ত করতেন, রাসূলের (সাঃ) পবিত্র হাদিস ভান্ডারকেও সেভাবে মুখস্ত করার ব্যাপারে তারা একইরকম গুরুত্ব প্রদান ও সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ওয়া রাদ্বুউ আনহু। অত্র গ্রন্থে চল্লিশজন হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবীর সংক্ষিপ্ত জীবনী আলোচিত হয়েছে।
“হাদীসঃ পরিচিতি, সংরক্ষণ ও সংকলন” গ্রন্থ পরিচিতি
ইসলামী শরী‘আতের মূল উৎস হচ্ছে দু’টি। আল্লাহ তাআলার কিতাব আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ। উভয়টিই ওহীর অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ উভয়টির হিফাযতের দায়িত্বও গ্রহণ করেছেন। সুন্নাহ’র গুরুত্ব-মহত্ত্ব, মর্যাদা, তাৎপর্য, ও আবশ্যকতা অপরিসীম। সুন্নাহকে বাদ দিয়ে শরী‘আতের পূর্ণতা কল্পনা করা যায় না। সুন্নাহর ওপর নির্ভর করা ব্যতিত কুরআন কারীমের ওপর আমল করাও সম্ভব নয়।
মহান আল্লাহ বলেছেন,
“এবং তিনি কোনো মনগড়া কথা বলেন না। তিনি যা বলেন, তা ওহী; যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।” (সূরা নাজমঃ ৩-৪)
“রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তোমরা তা গ্রহণ করো এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাকো।” (সূরা হাশরঃ ৭)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
“আমি তোমাদের মাঝে এমন দুটি জিনিস রেখে গেলাম, যেগুলো আঁকড়ে ধরে থাকলে তোমরা পরে আর কখনো পথভ্রষ্ট হবে না- আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নাহ।” (সহীহুল জামে’ লিল-আলবানীঃ ২৯৩৭)
ইসলামী জীবনব্যবস্থায় হাদীসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এই হাদীসই হলো আল কুরআনের বাস্তব রূপ এবং বিস্তারিত ব্যাখ্যা। এটি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবন দর্পন এবং শরী‘আতের দ্বিতীয় মূল ভিত্তি। হাদীস ব্যতীত কুরআন বোঝা এবং বাস্তবায়ন করা অসম্ভব। কেউ এর বিপরীত দাবি করে থাকলে সে হয় মিথ্যাবাদী, নয় উন্মাদ-নির্বোধ। কুরআনে আল্লাহ বান্দাহদের জন্য এমন অনেক বিধান নির্দেশ করেছেন, যেগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করার দায়িত্ব তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উপর ন্যস্ত রেখেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর বক্তব্য ও কর্ম-পদ্ধতির মাধ্যমে সেগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন, যা হাদীসসমূহে সংরক্ষিত আছে।
ঠিক এ কারণেই, রাসূল (সাঃ) এর যামানা থেকে অদ্যবধি সর্বযুগে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে উম্মতের উলামাগণ কুরআন চর্চার সমান গুরুত্ব দিয়েই হাদীস চর্চা করেছেন। এর সংকলন, সংরক্ষণ ও প্রসারে বিরামহীনভাবে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছেন। হাদীস অস্বীকারকারী প্রবৃত্তিপূজারীদের বিরুদ্ধে সুদৃঢ় অবস্থান নিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র উম্মোচন করেছেন। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবেই মুসলিমরা পেয়েছে সহীহ বুখারী, মুসলিম, মুয়াত্তা মালেক, সুনান আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ ইত্যাদির মতো বিশ্ববিখ্যাত, সর্বজনসমাদৃত হাদীসের সংকলনসমূহ। আল্লাহ তাঁদেরকে এবং তাঁদের মেহনতকে কবুল করুন।
অত্র সংকলনটি হাদীসের খেদমতে আমাদের একটি ছোট্ট পদক্ষেপ। হাদীসের পরিচিতি-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদীর পাশাপাশি; এ গ্রন্থে রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবাদের যামানায় হাদীস লিখে রাখার যে চর্চা নির্দেশিত ও প্রচলিত ছিল, সে বিষয়ে প্রামাণ্য দলীল উপস্থাপনে যথাসাধ্য গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ‘রাসূল (সাঃ) হাদীস লিখতে নিষেধ করে দিয়েছেন, তাই হাদীস সঠিকভাবে সংরক্ষিত হয় নি’;- হাদীস অস্বীকারকারী মিথ্যাবাদীদের এমন প্রোপাগান্ডার জবাবে অত্র গ্রন্থে উপস্থাপিত তথ্য-উপাত্তসমূহ জিজ্ঞাসুদের জন্য মজবুত দলীল হিসেবে কাজ করবে, ইনশাআল্লাহ।
রাব্বুল আলামিন আমাদের এই খেদমত কবুল করুন। আমিন।
Reviews
There are no reviews yet.